ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করা এখন অত্যন্ত সহজ। একজন নাগরিক নতুন ভোটার নিবন্ধিত হওয়ার পরে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দেওয়া ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে। তবে বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড বের করা এর ব্যাপারে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম হয়েছিল। এবং অনেকেই এরপরে অনলাইন থেকে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করেছিলেন। আবার অনেকেই পারেননি। যাদের বয়স ১৮ বছর পরিপূর্ণ হয়নি নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেজ অনুযায়ী তাদের তথ্যগুলো অনলাইনে ছিলনা, তাই অপ্রত্যাশিত সমস্যার কারণে তারা নির্বাচন কমিশনে ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে পারে নাই।
যদি কোন কারণে আপনার বয়স ১৮ পরিপূর্ণ না হয় তাহলে আপনার ভোটার তথ্য অনলাইনে পাওয়া যাবে না। আবার অনেক সময় ভুলবশত কর্মকর্তাদের ভুলের কারণে অনেকের এনআইডি কার্ডের তথ্য এন আই ডি ডাটাবেজ এ সংরক্ষণ করা হয়ে থাকলেও অনলাইন করা হয় না।
প্রাথমিকভাবে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনার বয়স ১৮ এর উর্ধ্বে। এরপর আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনার এনআইডি কার্ড অনলাইনে রয়েছে কিনা এজন্য অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করে দেখতে হবে। যদি আপনাকে ” অপ্রত্যাশিত সমস্যার জন্য দুঃখিত” মেসেজ দেখানো হয় তাহলে আপনার আইডি কার্ডটি নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অনলাইন করতে হবে। আর যদি এই সমস্যা না হয় তাহলে নিচে নিয়ম অনুযায়ী ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার নিবন্ধন হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে নাগরিকের নতুন এনআইডি কার্ড নাম্বার এসএমএস এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। উক্ত ১০ সংখ্যার এন আইডি কার্ড নাম্বার এবং তার জন্ম তারিখ ব্যবহার করে এনআইডি পোর্টালে একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার মাধ্যমে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে।
যদি কোন কারনে এনআইডি সংক্রান্ত এসএমএস মোবাইলে না আসে সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে। এজন্য হাতে থাকা নিবন্ধন স্লিপের সংখ্যার পূর্বে NIDFN যুক্ত করে নিতে হবে।
প্রথম ধাপঃ অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন
আপনাকে প্রথমে services.nidw.gov.bd লিংকে গিয়ে আপনার এনআইডি নাম্বার অথবা ভোটার স্লিপ ব্যবহার করে একটি একাউন্ট নিবন্ধন করতে হবে।
- এখানে প্রথমে আপনার 10 সংখ্যার এন আই ডি নাম্বার অথবা আপনার নিবন্ধন স্লিপে থাকেন স্লিপ নম্বরটি প্রবেশ করেন
- এর পরে আপনার জন্ম তারিখ টাইপ করুন
- এরপরে ছবিতে দেওয়া প্রদর্শিত কোডটি বসান
- সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন
- এখানে আপনার স্থায়ী ঠিকানা প্রথমে বিভাগ
- এর পরে আপনার জেলা
- এরপর আপনার উপজেলা
- একে একে আপনার বর্তমান ঠিকানা প্রবেশ করেন
মনে রাখবেন ভুল ঠিকানা প্রদান করলে আপনার একাউন্ট নিবন্ধন করতে দেওয়া হবে না। এজন্য সঠিক ঠিকানা নির্বাচন করুন, আপনি যখন ভোটার আইডি কার্ড নিবন্ধন করেছিলেন তখন যে ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন সেই ঠিকানা এখানে নির্বাচন করতে হবে, ঠিকানা ভুলে গেলে ১০৫ নম্বরে কল দিয়ে জেনে নিতে পারেন
এরপরে আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নাম্বারে এসএমএস পাঠিয়ে সেটি ভেরিফাই করতে হবে। আপনি চাইলে নাম্বারটি পরিবর্তন করেও ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। কাজটি করতে বার্তা পাঠান লেখাটিতে ক্লিক করতে হবে।
এই পর্যায়ে এসে, আপনাকে nid wallet মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহার করে স্ক্রিনে দেওয়া কিউআর কোডটি স্ক্যান করার মাধ্যমে আপনার ফেসটি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করতে হবে। মনে রাখবেন যেই ব্যক্তির আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যাচ্ছেন কেবল সেই ব্যক্তির চেহারা ডানে বামে ঘুরিয়ে স্ক্যান করে নিতে হবে ক্যামেরার মাধ্যমে। এরপরে অটোমেটিক এটা সম্পন্ন হবে। এরপর আপনাকে নিচের মত পেইজে অটোমেটিক নিয়ে যাওয়া হবে,
এখানে আপনি চাইলে একটি সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড প্রদান করার মাধ্যমে আপনার একাউন্টটি নিরাপত্তা দিতে পারেন। পরবর্তীতে এনআইডি অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করার জন্য একাউন্টের একটি পাসওয়ার্ড দিয়ে সেট করতে পারেন, এক্ষেত্রে যেকোনো সময় আপনার একাউন্টে লগইন করার মাধ্যমে আপনার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ আইডি কার্ড ডাউনলোড
পাসওয়ার্ড সেট করা হয়ে গেলে আপনার বিস্তারিত প্রোফাইল দেখতে পাবেন, ডানে অনেকগুলো মেনু দেখতে পাবেন
এখানে ডাউনলোড লেখাটাতে ক্লিক করলে আপনার এনআইডি কার্ডের পিডিএফ কপি ডাউনলোড হয়ে যাবে। এখন আপনি কি কম্পিউটারের দোকান থেকে প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে আপনি আপনার সমস্ত কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।